শিক্ষকদের পালনীয়
শিক্ষকদের পালনীয়ঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা, অকৃত্রিম স্নেহ-মমতা, সম্মান ও সৌহার্দ্যের মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য স্কুলে সময় ব্যয় করা।
২। শিশুর বিকাশে দৈনন্দিন মাসনুন দু‘আ (সালাম, হাঁচি ইত্যাদি) ও আমল যেমন- পরিচ্ছন্নতা, পোশাক, চুল ও নখ কাটা, বই-খাতার মলাট প্রাণীর ছবিমুক্ত রাখা, বিভিন্ন মন্দ অভ্যাস যেমন- গালি দেয়া, ঝগড়া করা ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ত্রুটি সংশোধনে শিক্ষার্থীকে উদ্বুদ্ধ করা।
৩। অন্যের বই, খাতা, পেন্সিল, রাবার-কাটার না ধরা, নিজের নয় এমন জিনিস ব্যাগে পাওয়া গেলে শিক্ষক বা অভিভাবককে জানানোর ব্যাপারে শিক্ষার্থীকে বুঝানো শিক্ষকের কর্তব্য হইবে।
৪। দৃষ্টি নিচু রাখা ও আচরণে ইসলামী বিধানের পূর্ণ অনুসরণ করা শিক্ষকের অবশ্য কর্তব্য হইবে।
৫। স্কুল শুরুর ১০ মিনিট পূর্বে শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হইতে হইবে।
৬। সকল শ্রেণিতে, বিশেষ করে শিশু, কে.জি, ও প্রথম শ্রেণিতে প্রতিদিনের পাঠ (পরিকল্পনার মাধ্যমে পড়া ও লিখা উভয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে) ক্লাসেই তৈরি করিতে হইবে।
৭। নিয়মিতি ক্লাস পরীক্ষা নেয়া ও রেকর্ড সংরক্ষণ করা শিক্ষকের কর্তব্য হইবে।
৮। শিক্ষা বিষয়ের সমস্যা সমূহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ পারস্পরিক আলোচনা- পর্যালোচনার মাধ্যমে সমাধান করিবেন। কোন বিষয়ে পরামর্শ / অভিযোগ থাকিলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করিবেন।
৯। শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রহার করা থেকে আন্তরিকভাবে বিরত থাকিতে হইবে। তবে ভালো চরিত্র গঠনের প্রয়োজনে ব্যক্তিগত রাগ-বিরাগ, মান-অভিমান ও পক্ষপাতিত্ব ব্যতীত সংশোধন করিবেন।
১০। কোন বিষয়ে অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণ বা সহযোগিতার প্রয়োজন হইলে সম্মান ও সৌজন্যের সাথে শুধু নির্দিষ্ট বিষয়েই আলোকপাত করা বা সহযোগিতা চাওয়া শিক্ষকের কর্তব্য হইবে।
১১। শ্রেণিকক্ষে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের ব্যবহার না করা। শিক্ষা সহায়ক নয়- এমন কথা ও কাজ হইতে শিক্ষককে বিরত থাকিতে হইবে।
১২। কোন অন্যায় আবদার বা সুপারিশ করা হইতে অবশ্যই বিরত থাকিতে হইবে। প্রয়োজনীয় ছুটি দরখাস্তের মাধ্যমে মঞ্জুর করাইতে হইবে।
১৩। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়ানোর ক্ষেত্রে স্কুলের আদর্শ, লক্ষ্য ও স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রাখাসহ স্কুলের নিয়মসমূহ মানিয়া চলিতে হইবে। অন্যাথায় কর্তৃপক্ষের যে কোন সিদ্ধান্ত মানিয়া লইতে কুন্ঠিত হইব না।
No comments